উল্লাপাড়ায় মালেক ও কদভানু ভিক্ষুক দম্পতির মেলেনি বয়স্ক ভাতার-কার্ড।
মোঃ ময়নুল হোসাইন উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। এর মধ্যে যারা ভূমিহীন, বিত্তহীন এবং বার্ধক্যের কারনে যারা দৈহিক পরিশ্রমে অক্ষম তারাই সবচেয়ে বেশি দারিদ্রের শিকার। বয়স্ক এবং কাজ করতে অক্ষম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা প্রদান কর্মসূচী চালু করেছে। গ্রাম এলাকায় বয়স্ক ভাতা কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তেমনি একটা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য ভুগছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ৭ নং ওযার্ড এর শিবপুর গ্রামের ভূমিহীন মালেক ও কদভানু ভিক্ষুক দম্পতি। ভূমি হীন মালেক ও কদভানু প্রায় ৩০ বছর যাবত শিবপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর স্ত্রীর কাছে আলোকিত উল্লাপাড়া ফেসবুক গ্রুপ থেকে দেওয়া ৬টি টিনের ছাপড়ার নিচে মাথা গুজে আছে।মালেক মিয়া বলেন শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ করতে পারি না তাই সারা দিন ২ জন মিলে ভিক্ষা করে এসে দেখা যায় কোন দিন খেয়েও দিন কাটে আবার না খেয়েও দিন কাটাতে হয়।
একটা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য গ্রামের জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে তারা আশ্বাস দিলেন এখন পর্যন্ত মিলেনি হতভাগা দের একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড। তাই জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য দু বেলা দু মুঠো ভাত খাবার জন্য করতে হয় ভিক্ষা।এতে করে কোন ভাবে বেঁচে আছি জীবন যুদ্ধে।
উল্লেখ্য এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মোঃ আজাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছরে এই বয়স্ক ভাতার কার্ড এর সুযোগ এক বার করে আসে। এখন নতুন বছর পড়ায় বয়স্ক ভাতার কার্ড সরকার থেকে ঘোষনা হলে কদভানু কে দেওয়া হবে।