প্রধান মেনু

উন্নয়নের মহাসড়কে গাংনী পৌরসভা

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনীঃ উন্নয়নযাত্রায় নাগরিক সুবিধায় এগিয়ে চলেছে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা। এক সময় ব্যাপক সমস্যা কবলিত পৌরসভা ছিলো গাংনী । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জন দায়িত্ব পালন করলেও এই পৌরবাসীর ভাগ্যের তেমন উন্নয়ন হয়নি। নাগরিক সুবিধা আদায়ে নানা দাবি উঠে। ছোট খাটো উন্নয়ন কিছু হয়, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মাটিচাপাই থাকে। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে গাংনী পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন আশরাফুল ইসলাম। পৌরসভার নাগরিকদের সেবায় নিরবে-নিভৃতে শুরু করে নানা কর্মযঞ্চ। আধুনিক পৌরসভা গঠনে নিরলসভাবে কাজ করেন। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই মেয়র।২০০১ সালে স্থাপিত হয় গাংনী পৌরসভা। এরপর ২০১৩ সালে গাংনী পৌরসভাটি খ শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আশরাফুল ইসলাম নাগরিকদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শহরের প্রধান সড়কসহ প্রতিটি সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়।

তাছাড়া দুই কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫৯ টি সোলার স্ট্রীট লাইট বসানো হয়েছে। শহরের অলিগলিগুলো এখন আর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে না। শহরের বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো। দুর্গন্ধে পথচলা দায় হতো। কিন্তু এখন পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ৩৬০ টি প্লাস্টিকের ডাস্টবীণ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন ভোরে ৪ট্রাক গাড়ি করে আবর্জনা অপসারণ করা হয়।শহরের রাস্তা উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ১৭টি সড়কের উন্নয় কাজ চলমান রয়েছে। নয় কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যায়ে সড়কগুলির উন্নয়ন হলে একদিকে যেমন যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে অন্যদিকে নাগরিকগণ পাবে অন্যান্য সুবিধা। এ ছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান কাজ চলমান। ড্রেন নির্মান সমাপ্ত হলে শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

শহরে নাগরিকদের জন্য সুপেয় পানিরব্যবস্থা করণে নির্মাণ করা হচ্ছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে।স্থানীয়দের মতে পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বেড়েছে। করোনাকালে পৌরসভার আওতাধিন গরীব ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ১৮০০ জনকে ওএমএসের এবং ভিজিএফের আওতায় ৩০৮১ জনকে আনা হয়েছে। শহর জিবানুমুক্ত করতে প্রতিদিন দুবার শহরের রাস্তায় স্প্রে করা হয়। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে শহরে আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

হাসপাতালে জনবল সংকটে পৌরসভার পক্ষ থেকে ১০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দেয়া হয়েছে যার বেতন ভাতা পরিশোধ করেন মেয়র নিজেই। অন্যদিকে পৌরসভার দুস্থদের পৌরকর নিজেই পরিশোধ করেন।গরীবদের চিকিৎসা ও মেধাবীদের উপবৃত্তি প্রদান করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।ইতোমধ্যে পৌর এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ক্রয় করা হয়েছে ছয়বিঘা জমি।গাংনী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রমজান আলী জানান, আশরাফুল ইসলাম একজন শিক্ষিত ভদ্র ও মার্জিত ব্যাক্তি। তিনি পৌর সভার উন্নয়নের ব্যাপক ভুমিকা রেখে চলেছেন।

পৌর এলাকায় কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে এবং তিনি জানতে পারলেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তা সমাধান করেন। ইতোমধ্যে কাঁচা বাজারে দোকান নির্মাণ ও আধুনিক কসাই খানা নির্মান করেছেন যা জনগনের একান্ত দাবী ছিল। হাসপাতাল বাজারের খোকা বাবু জানান, মেয়র সাহেব দুস্থ ও গৃহহীনদেরকে নিজ ব্যবস্থাপনায় গৃহনির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ করে দিয়েছেন। গরীব অসহায় স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবাদের ভাতা চালু করে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দিয়েছেন স্বচ্ছলতা।

মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের আগে জনগনকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেষ্টা করছি। এখনও অনেক কাজ বাকি। আগামীতে আবারও নির্বাচিত হলে নাগরীকদের সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবো।