ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য পরিবেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ—-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৯ ভাদ্র (২৪ আগস্ট): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে মূল্যবান সম্পদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে। ই-বর্জ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অনেক অভাব। এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকার বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিস মিলনায়তনে ওয়ালটন আয়োজিত ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার সেশন-৩ ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ স্মাগলিং অথবা মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ডিজিটাল ডিভাইস বা যে কোনো ধরণের পণ্যের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, আমরা অন্য দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন হতে পারি না। মন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্য ব্যস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। সফলভাবে ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে। মন্ত্রী উদ্ভাবনের জন্য গবেষণায় যথাযথ বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, গবেষণায় বিপুল বিনিয়োগের ধারাবাহিকতায় চীনের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গোটা ইউরোপ ও আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী উদ্বাবনের জন্য গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ওয়ালটন বিশ্বের অনেক দেশে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করছে। তিনি বলেন ‘ওয়ালটন ডানা ঝাপটাচ্ছে।’ একটু সহযোগিতা পেলে একদিন তারা আকাশে উড়বেই। কোরিয়া, চীন, জাপানের ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন বিশ্বে পরিচিতি অর্জন করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ও পরিবেশ রক্ষায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ওয়াল্টনের উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ওয়ালটনের মত দেশের সকল ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিজসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান, ডিএমডি ইভা রেজুয়ানা এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বক্তৃতা করেন।