আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন —স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আশ্বিন (১ অক্টোবর) : আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার দিন সকল শিক্ষার্থীদেরকে সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীসহ কর্তব্য পালনকারী কর্মকর্তা- কর্মচারী মোবাইল ফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদেরকে প্রবেশ পত্রের সাথে উল্লিখিত নির্দিষ্ট ধরনের কলম নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
আজ সচিবালয়ে আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত ওভারসাইট কমিটির সাথে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বোচ্চ কঠোর ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তাই পরীক্ষা নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ এবারও থাকবে না। গত কয়েক বছর যাবৎ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সকল মহলে যে প্রশংসা অর্জিত হয়েছে এবারের পরীক্ষায়ও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জনগণের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে যেন প্রকৃত মেধাবীরাই ভর্তির সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে সরকার কোনো আপোষ করবে না। ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্য বা গুজব প্রতিরোধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য সংবলিত পোস্ট ও ভুয়া অনলাইন পোর্টালের ওপর তীক্ষ্ম মনিটরিং জোরদার করতে সকল সচেতন নাগরিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে কেউ কোনো তথ্য পেলে তা সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য মন্ত্রী অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা যেন সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের প্রতি মন্ত্রী অনুরোধ জানান। এছাড়াও সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যার নম্বর গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়–য়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমডিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লা, বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ, ওভারসাইট কমিটির সদস্য কলামিস্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতি’র সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, গাজী মিডিয়ার চিফ এডিটর ইশতিয়াক রেজাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।