আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছে — সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ ভাদ্র (১১ সেপ্টেম্বর) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সারাবিশ্বের জন্য ঈর্ষণীয়। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা ও সামর্থ্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধির কারণে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটছে এবং পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গুলশানস্থ স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ) এর উইমেন স্ট্যান্ডিং কমিটির অভিষেক ও গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন ও সংস্কৃতি অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় ৫০৩টি সংরক্ষিত প্রত্নস্থল বা পুরাকীর্তি রয়েছে। আমরা এসব প্রত্নস্থলে পর্যটন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাঙালির রয়েছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। পর্যটনের মাধ্যমে এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রুবিনা আক্তার মীরা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন। অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধিত গুণিজনরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা এবং বিশিষ্ট কবি, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী কাজী মোহিনী ইসলাম।