প্রধান মেনু

আরও ১৬ জেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ হবে

পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য নতুন করে আরও ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করা হবে। এজন্য ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।  সভায় জানানো হয়েছে, বিভিন্ন পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৩৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ১৭টির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রকল্পের মাধ্যমে, নতুন করে ১৬টি জেলা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারি, মেহেরপুর, ঠাকুরগাঁও, খাগড়াছড়ি, নাটোর, পঞ্চগড়, নড়াইল, জয়পুরহাট, শেরপুর, বান্দরবানে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হবে।মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মোট ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

সভায় ২৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেশ কিছু বিদ্যমান কমিউনিটি সেন্টার বহুদিনের পুরানো, জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এজন্য অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন নুতন কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও পুরাতন কমিউনিটি সেন্টারের পুনর্বাসন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১০ তলা বিশিষ্ট খলিল সরদার কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ৯ তলা বিশিষ্ট শায়েস্তা খান কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ১০ তলা বিশিষ্ট মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।

একইসঙ্গে ৪৪নং ওয়ার্ডের সূত্রাপুর এলাকার বিদ্যমান কমিউনিটি সেন্টার পুনর্বাসন এবং ৪নং ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকার বিদ্যমান কমিউনিটি সেন্টার পুনর্বাসন করা হবে।জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ৫১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এটি নির্মাণ করা হলে পোশাক শিল্পের জন্য তিন স্তরের জিএসপি সুবিধা আদায় করার জন্য পরিবেশবান্ধব সংমিশ্রিত সুতা ও কাপড় উৎপাদন করা যাবে। পাট ও তুলার সংমিশ্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা উৎপাদন করে সুতা থেকে কাপড় ও পোশাক তৈরি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।