প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হবে —কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর মোঃ রাজ্জাক বলেছেন, ‘কৃষির অভ্যন্তরীণ বাজার প্রসারিত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য কৃষিপণ্যের বৈচিত্রায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ অপরিহার্য। কিভাবে বাজার সম্প্রসারণ করে আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় তা বের করতে হবে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম পারলে আমরা কেনো পারব না ? এ জন্য সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পসমূহের (এডিপি) অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভার শুরুতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি এ এম এম সালেহ’র মৃত্যুতে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় প্রকল্প পরিচালকরা তাদের নিজ নিজ প্রকল্পের অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। মন্ত্রণালয়ের মোট ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে ১হাজার ৩ শত ৩৩ দশমিক ৬৫ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। যে সব জায়গায় ধান বা আলুর ফলন ভালো হয় না তা চিহ্নিত করে সেখানে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য যান্ত্রিকিকরণ বাড়াতে হবে। ভুট্টার আমাদানি নির্ভরতা কমিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ভুট্টার বাৎসরিক উৎপাদন ৬০ লাখ টন করা এবং তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে চাষিদের বিনামূল্যে ভুট্টা বীজ সরবরাহ করার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এছাড়া ফসলের ক্ষতিকর পতঙ্গ নিধনে ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কীটনাশক বিক্রেতাদের ফেরোমন ট্র্যাপ বিক্রিতে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থার প্রধান ও বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।