আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “তথ্য কমিশনের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। তথ্যপ্রাপ্তি মানুষের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার। তথ্য জানার অধিকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে।
সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আইনসমূহ সহজবোধ্য ও জনবান্ধব করে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে জনগণ দেশের আইন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছেন- যা মুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়ছে ‘মুক্ত সমাজের জন্য উত্তম আইন: টেকসই উন্নয়নে তথ্যে অভিগমন’ যা অত্যন্ত যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েই সরকার তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে এবং এ আইন বাস্তবায়নে গঠন করেছে তথ্য কমিশন। তথ্য অধিকার আইনের সফল বাস্তবায়নে এ আইন ও তার বিভিন্ন প্রায়োগিক ক্ষেত্র সম্পর্কে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণের সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্য কমিশন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
নানা চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তথ্য অধিকার আইনের সফল প্রয়োগ জনগণকে দেশের উন্নয়ন কর্মকা- সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকা-ে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”