প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনআগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যেনিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

তথ্যই শক্তি, তথ্যেই মুক্তি। তথ্য মানুষকে সচেতন করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’। এর মাধ্যমে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ রচিত হয়েছে এ আইনের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত এবং তথ্য সরবরাহ ও প্রাপ্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষ করে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সে প্রেক্ষিতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য কমিশনসহ সরকারি- বেসরকারি সকল দপ্তর-সংস্থাকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে তথ্যের অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট-মিডিয়া, নাগরিক সমাজসহ সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় হবে।

আমি ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”