প্রধান মেনু

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে আমি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসীগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন ছাড়াও নানা কারণে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছে। মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসন ও অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী চেতনার উম্মেষ সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে নগরসভ্যতার সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বৃহদাকার কর্মযজ্ঞে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে এখনও নানা ধরনের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, জবরদস্তিমূলক শ্রম, শ্রমিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন, মানবপাচারসহ নানা প্রকারের অপরাধ সংগঠিত হয় থাকে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইওএম, আইএলও এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলে আমি মনে করি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসী নারী-পুরুষের শ্রম সেসব দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে । অভিবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। আমি এ সকল অভিবাসী নারীপুরুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠান সফল হোক এ কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”