আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসী ভাইবোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। অভিবাসীদেরপ্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধকরণে অভিবাসী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছি।
বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ব্যাংক হতে অভিবাসী কর্মীগণ সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারছেন। রেমিটেন্স প্রেরণেও সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে বিদেশগামী কর্মীদের সেবাপ্রাপ্তি এবং নিয়োগকারী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এসকল পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ হতে কর্মী প্রেরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এ পর্যায়ে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসন বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা, কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ গৃহীত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চলমান কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস একটি ভিন্নমাত্রা অর্জন করবে বলে আমার প্রত্যাশা।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবপাচারবিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রকার হিংসা, ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানসহ অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য আইন ও বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আমি ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”