প্রধান মেনু

আগামীতে প্রতি উপজেলায় একযোগে যাত্রা উৎসব আয়োজন করা হবে—-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী                 

ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, যাত্রা বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ। আগে গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত যাত্রাপালা আয়োজিত হলেও নগর সভ্যতার আগ্রাসন, যান্ত্রিকতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানাবিধ কারণে এখন যাত্রাপালা তেমন একটা দেখা যায় না। তবে গ্রাম বাংলার এ লোকজ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বিগত পাঁচ বছর ধরে সংস্থাটি নিয়মিত যাত্রাপালা উৎসব আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সারা দেশের ৪৩টি জেলায় আয়োজিত হচ্ছে ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব’। আগামীতে প্রতি উপজেলায় একযোগে যাত্রা উৎসব আয়োজন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে একাডেমি আয়োজিত ২-২০ নভেম্বর ২০২৩ মেয়াদে দেশব্যাপী ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার প্রচার, প্রসার ও বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাত্রাপালাসহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে যাচ্ছে। আর এসব বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যার পেছনে মূল কারিগর হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংস্কৃতিবান্ধব মহাপরিচালক ঋত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। সংস্কৃতি চর্চাকে বেগবান করতে বর্তমান সরকারকে আবারও নির্বাচিত করার জন্য সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গেলে সংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত হবে, মৌলবাদের উত্থান ঘটবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

উল্লেখ্য, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ১২০টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪৩টি জেলার ১০৫টি স্থানে এ যাত্রাপালা উৎসবের আয়োজন করেছে।