প্রধান মেনু

আগস্টের কষ্ট বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন—-নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের মতো বিপুল সংখ্যক দলের অংশগ্রহণের টুর্নামেন্ট পৃথিবীতে বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও হয় না। এদিক দিয়ে এই টুর্নামেন্ট পৃথিবীতে ফুটবল ইতিহাসে একটি জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গত ১৫ বছরে এগিয়ে গেছে, সে সাথে বাংলাদেশে খেলাধুলার ক্ষেত্রে জাগরণ তৈরি হয়েছে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ের ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। এত বড় টুর্নামেন্টে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে সেটা আমরা কখনো চিন্তাও করিনি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিশুদের নিয়ে চিন্তা করেন বলেই এরকম একটি টুর্নামেন্টের কথা চিন্তা করলে বুঝা যায়। গ্রাম ও তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাহস ও আকাঙ্খা জাগ্রত করা, প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া এই টুর্নামেন্টের অন্যতম উদ্দেশ্য।

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামেবঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর ফাইনাল খেলার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলে আমরা জাতীয় সংগীত গাইতে পারছি, স্বাধীন দেশের পরিচয় দিতে পারছি। এ পরিচয় দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর যে অর্জন, সে অর্জনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। এ দুজন মহামানব ও মহামানবীকে আমরা হারিয়েছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সাথে হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্রসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জীবনে শোকাবহ মাস। শোকের মাস অনেক কষ্টের মাস। এ কষ্ট বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বেঁচে থাকা দুঃসন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য শিশুদের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা বলেছেন, এই পৃথিবীটাকে আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য আজকে শিশুদের জন্য নিরাপদ ও সুন্দর বসবাসযোগ্য করে তুলবো। সেখানে সকলেই বড় হবে সুনাম অর্জন করবে। আজকের এই টুর্নামেন্ট এক সময় পৃথিবীতে অনেক বড় স্বীকৃতি নিয়ে আসবে। সেটার মধ্য দিয়ে আজকে তোমাদের যে অংশগ্রহণ পৃথিবী সেটাকে স্বীকৃতি দিবে। তোমরা দেশপ্রেম বিবেক বুদ্ধি দিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।