প্রধান মেনু

আকর্ষন হারাচ্ছে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ।

মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন:বাংলাদেশের মানচিত্রের দক্ষিনের শেষ সীমানায় যে এলাকাটি রয়েছে তা হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। এই দ্বীপটি একদিনে গড়ে উঠেনি এদ্বীপ টিতে মানুষ বসবাসের ইতিহাস ২৫০ বছর আগের। যখন মানুষ প্রথম বসবাস শুরু করে তখন এই দ্বীপটির নাম ছিল “জাঝিরা” পরবর্তীতে এই দ্বীপটির নামকরণ করা হয় সেন্ট মার্টিন্স। বিভিন্ন সময় এদ্বীপটিতে নারিকেল জিনজিরা, দারুটিনি দ্বীপ সহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৩.১ বর্গ মাইল দৈর্ঘ ৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থে আধা কিলোমিটার নিয়ে এই প্রবাল দ্বীপ এই দ্বীপের লোকজন খুব সহজ সরল প্রকৃতির এবং ধর্মভিরূ। হাতে গোনা কয়েকটি হিন্দু পরিবার ছাড়া সবাই মুসলিম পরিবার। পর্যটকদের টেকনাফ জাহাজঘাট থেকে রওনা দিয়ে সেন্ট মার্টিন্সের যে ঘাটে নামতে হয় তার খুব বেহাল দশা এ ছাড়া সেখানে নেই তিন বা পাঁচ তারকা মানের আবাসিক বা খাবার হোটেল। যদিও মুসলিম অধ্যুষিত এই দ্বীপটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য পাব, বার, কেসিনো সহ বিভিন্ন বিষয়গুলো যুক্ত থাকা বা নীয়।
একসময় এ এলাকার জায়গা জমির মালিক স্থানীয়রা ছিল। এখন প্রায় অর্ধেক জমির মালিক বাইরের তার মূল কারণ অবৈধ পথে থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে মুক্তিপনের স্মীকার হয়ে জায়গাজমি কম দামে বিক্রী করতে হয়েছে। এছাড়া শীতের মৌসুমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ৩/৪ মাসের জন্য সেন্ট মার্টিন্স আসে এর মধ্যে মাছ এবং ট্রলার, স্পীড বোট ব্যবসায়ী অন্যতম।
বিভিন্ন সূত্রমতে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এ এলাকার জায়গাজমি কিনতে হলে ই এন ও এবং চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করতে পারলেই হয়। আর যারা ব্যবসা করে তাদের যে সমস্যা রয়েছে তা হলো একটি মালের ঘাট ফি দুইবার দিতে হয় লেবার ফি দুইবার দিতে হয় এতে করে তারা ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তবে বিস্ময়কর হলে ও একটি ব্যপার সত্যি যে ইতিপূর্বে বাংলাদেশে যতগুলো বড় বড় বন্যা ও জলোচ্ছাস হয়েছিল এতে দ্বীপবাসীর কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এবং দ্বীপবাসী এও বিশ্বাষ করে মহান আল্লাহর একটি বিশেষ রহমত এই দ্বীপবাসীর প্রতি রয়েছে। ইদানিং টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন্স যাওয়ার জন্য বড় বড় জাহাজ যুক্ত হয়েছে আগে যেখানে সাম্পানই ছিল একমাত্র ভরষা। তবে টেকনাফ জাহাজ ঘাট এবং সেন্ট মার্টিন্স জাহাজ ঘাট উভয়েরই বেহাল দশা কাঠ বাঁশের নির্মিত টেকনাফের জাহাজ ঘাটটিতে চলাচল বিপদ জনক এবং সেন্ট মার্টিন্সে সামার জন্য সেতুটি কংকিট নির্মিত হলেও তার বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে একটিকাঠের পাটাতন বিছিয়ে লোকজন নামানো হয় এতে দুর্ঘটনার আশংকা থেকেই যায়। বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের এখনই দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং বৈদেশিক মূদ্রা আনয়নে সেন্ট মার্টিন্সের ভুমিকা অপরিসীম। সেন্ট মার্টিন্সে থাকা, খাওয়া এবং চলার পরিবেশ উপযোগী করতে হবে এবং নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋন দান করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে হবে। প্রাকৃতিক অবকাঠামো কে ঠিক রেখে নতুন কৃত্তিম অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বাঁচাতে হবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে।