আঁতোয়া গ্রিজমানকে বার্সেলোনা ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে
ব্যাপারটায় প্রচ- ক্ষুব্ধ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের সেরা খেলোয়াড় আঁতোয়া গ্রিজমানকে বার্সেলোনা ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে—অভিযোগ তাদের এমনই। পুরো বিষয়ে তারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে বার্সার বিপক্ষে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফায় অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। গ্রিজমানের সঙ্গে বার্সার যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ক্লাবের অন্যতম পরিচালক গুইলেরমো আমর। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘যদি বার্সা সভাপতি বার্তেমেউ গ্রিজমানের সঙ্গে দেখা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাঁকে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’ তবে আমর গ্রিজমানের সঙ্গে বার্তেমেউয়ের আলাপচারিতায় নিছক সামাজিকতার ব্যাপারটিও উড়িয়ে দেননি, ‘ভালো সম্পর্ক থাকলে সাধারণ আলাপচারিতাও হতে পারে। ফুটবল দুনিয়ার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ গুজব। আমরা অনেকের সঙ্গেই কথা বলি। অনেক খেলোয়াড়কেই বার্সায় খেলার কথা বলি। এটা তো আমাদের দায়িত্বের পর্যায়েই পড়ে।’
এদিকে, ফিফার একজন মুখপাত্র অ্যাটলেটিকোর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, ‘আমরা অ্যাটলেটিকোর কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র পেয়েছি।’ গত জুনেই ২০২২ পর্যন্ত গ্রিজমানের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে অ্যাটলেটিকো। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়কে দলে টানার প্রচেষ্টাকে অ্যাটলেটিকো ফিফার আইনের পরিপন্থী হিসেবেই দেখছে, ‘গ্রিজমানের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি আছে।
বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় তাঁর সঙ্গে তাদের দলে খেলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে পারে না। এটা লিগে সমতা ও ভারসাম্য নষ্ট করে।’ ২০১৫ সালেই বেআইনিভাবে তরুণ বিদেশি ফুটবলার দলভুক্ত করার কারণে দলবদল থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল বার্সা। অ্যাটলেটিকোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলবদল থেকে আবারও নিষিদ্ধ হতে পারে বার্সেলোনা।
গ্রিজমানের সঙ্গে বার্সা সভাপতি বার্তেমেউয়ের দেখা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে কাতালান-ভিত্তিক সংবাদপত্র মুন্ডো দেপোর্তিভোও। সূত্র জানিয়েছে, গ্রিজমানকে দলে নিতে বার্সা নাকি এই মৌসুমের শেষে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বাই আউট ক্লজ পরিশোধ করতে রাজি। এদিকে অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে মনে করেন গ্রিজমানকে আজ হোক কিংবা কাল ছাড়তেই হবে।
তিনি জানিয়েছেন, কোনো খেলোয়াড়ের জন্য ভালো প্রস্তাব এলে তিনি তাঁকে অবশ্যই ছেড়ে দেবেন, ‘ডিয়েগো কস্তা, ডিয়েগো রিবাস কিংবা আরদা তুরানদের মতোই গ্রিজমানও একদিন দল ছাড়বে, এটা নিশ্চিত। যদি কোনো খেলোয়াড় আমার কাছে এসে বলে, “কোচ! আমার জন্য বিরাট একটা সুযোগ এসেছে। আমি ক্লাব ছাড়তে চাই।” তাহলে আমি হাসিমুখেই তাকে বিদায় দেব।’