প্রধান মেনু

অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষার অপেক্ষায় আল-আমিন

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম পাঁচ রাউন্ডে খুলনা বিভাগের হয়ে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার মোহাম্মদ আল-আমিন। বিকেএসপিতে থাকলেও খুলনার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ে দর্শক হয়েছিলেন ঝিনাইদহের এ পেস বোলার। কারণ তখন বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর কাজে ব্যস্ত আল-আমিন।বিপিএলের পঞ্চম আসরে ডানহাতি এ পেসারের বোলিং নিয়ে রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা।

বিপিএলের পর থেকে বিকেএসপিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ সালাউদ্দিনের সঙ্গে বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর কাজ করছেন আল-আমিন। কোচ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, সমস্যা কাটিয়ে এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিতে পারেন আল- আমিন। মূলত পায়ের ল্যান্ডিংয়ে সমস্যার কারণেই অ্যাকশনে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল তার। সালাউদ্দিনের আশা, কাজ করার পর বোলিংয়ে গতি বাড়বে আল- আমিনের।

গত ২৮ নভেম্বর খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে কুমিল্লার এ পেসারের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের একটি বল নিয়ে আম্পায়াররা সন্দেহ প্রকাশ করেন। গত কিছুদিন নিবিড়ভাবে কাজের পর আল-আমিনের উন্নতি হয়েছে জানিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘উন্নতি অনেক ভালো। আরেকটু সময় নিতে চাচ্ছি। একবারে পুরো প্রস্তুত করে ছাড়ব। এ মাসের মধ্যে পরীক্ষা দিবে। হয়তো ৩০ ডিসেম্বর।মূলত পায়ের সমস্যার কারণেই অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে ২৭ বছর বয়সী এ পেসারের। সালাউদ্দিন বলেন, ‘আসলে সমস্যা হয়েছে পা থেকে।

পায়ের এটা ঠিক হয়ে গেলে হাতটাও ঠিক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। আমরা সময় নিচ্ছি। ও যেন ভালোভাবে করে যায়, ও যেন জেনে যায় এবং ভবিষ্যতে যেন কখনো এ সমস্যায় না পড়ে।অ্যাকশন ঠিক করার এই কাজে আল-আমিনকে সহযোগিতা করছেন সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির প্রধান কোচ মাসুদ হাসান। দুই কোচ মিলেই প্রস্তুত করছেন তাকে। অ্যাকশন ঠিক করার পর আল-আমিনের বোলিংয়ে গতি বাড়বে বলেই বিশ্বাস সালাউদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে, আল-আমিনের আরও গতি বাড়বে।

সবচেয়ে বড় জিনিস ওর বোলিংয়ে গতি বাড়বে এটা আমরা মোটামুটি নিশ্চিত। বলে বাউন্সও বাড়তে পারে। যদিও ৫ কি.মি. গতি বাড়ে সেটা তো ভালোই। ঠিক করে ছেড়ে দিলেই হলো না। ঠিক করে দেয়ার পর ও যেন আরও ভালো বোলিং করে এটা দেখার জন্য আসলে একটু সময় লাগছে। এর আগে ২০১৪ সালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিপোর্টেড হয়েছিল আল-আমিনের বোলিং। সেবার চেন্নাইয়ে পরীক্ষা দিয়ে বৈধতা পেয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে হাইপার মোবালিটি নামক সীমাবদ্ধতার কারণে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল তার বোলিং নিয়ে। এবার আর হাইপার মোবিলিটির সমস্যা নয়।সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা ওর আগে থেকেই আছে। ওর হাতের এ সমস্যা, হাইপার মোবালিটি যেটা।

আমাদের সাধারণের যেমন সোজা, ওরটা কিছুটা বাঁকা। খালি চোখে মনে হবে, বোলিংয়ের আগেই বুঝি ১৫ ডিগ্রি হয়ে আছে। সোজা রাখলেও মনে হবে এটা ভেঙে আছে। এটা কিছুটা শোয়েব আখতারেরও এমন ছিল।ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে ২০০৮ সালে আব্দুর রাজ্জাকও নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেই অ্যাকশন শুধরে ফিরেছিলেন রাজ্জাক। এবার আল-আমিনও বোলিংয়ের সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা আমিও দেখছি এবার বোলিংয়েই সমস্যা ছিল। এটা ইতোমধ্যে কাটিয়ে উঠছে। এখন সমস্যা না এটা। আমিচাচ্ছি, কখনো যেন এমন সমস্যা না হয়।’