অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোফায়েল মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করুণ
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত জার্মান- অস্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগদানরত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার অমানবিক আচরণ করছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের হত্যা, ধর্ষণসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা পূর্বেরসহ এখন প্রায় ১০ লাখ। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের একান্তই মানবিক কারণে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করেছেন। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ যথাসম্ভব সবধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নানা কৌশলে মিয়ানমার সরকার বিষয়টিকে বিলম্বিত করছে।
অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশ আশা করে। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশোপ (ঔঁষরব ইরংযড়ঢ়)-এর সাথে একান্ত বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ সংক্রান্ত একটি পত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির উজ্জ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে, সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এয়ার কার্গো চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। অস্ট্রেলিয়া কার্গো উড়োজাহাজ চলাচল চালু করতে পারে। বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।