অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল OPEC ফান্ড প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনের ২৫তম বার্ষিকীতে যোগদান
ঢাকা, ১১ আষাঢ় (২৫ জুন) : অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে OPEC ফান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২০২৪-এ যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া সফর করছেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে রয়েছেন। গতকাল অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল OPEC ফান্ড প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনের ২৫তম বার্ষিকীতে যোগদান করেন।
অর্থমন্ত্রী কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (KFAED) এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়ালিদ আল বাহারের সাথে সাক্ষাতকালে KFAED কর্তৃক ১৯৭৪ সাল হতে অব্যাহত সমর্থন ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামীতে আরো সহায়তা বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ করেন। ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহায়তা করতে তহবিল আরো উদপাদনশীল প্রক্রিয়ায় অব্যাহত রাখা হবে। তিনি বাংলাদেশের সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের জন্যও সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মধ্যে খুলনা জেলায় চুনকুড়ি নদীর উপর ‘চুনকুড়ি সেতু প্রকল্প’ এর জন্য একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৮৬ দশমিক ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধি করা এবং রাজধানী ঢাকার সাথে এই অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল সহজ করা।
অর্থমন্ত্রী সাইডলাইন মিটিংয়ে ওপেক ফান্ডের প্রেসিডেন্ট ড. আবদুলহামিদ আলখালিফার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ৩২টি প্রকল্পের অনুকূলে ৬৯৩ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে ও বাজেট সহায়তা প্রদান করে কোভিড ক্রান্তিকালিন সময়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ওপেক তহবিলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সহায়তা প্রদানে তহবিলের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পত্যয়ে আরো বেশি সহোযোগিতা প্রদান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তিনি ওপেক ফান্ডকে অনুরোধ করেন।
ওপেক ফান্ডের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ওপেক তহবিল অবশ্যই বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তা বৃদ্ধি করবে। তিনি অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির ধারণা গ্রহণ করেন।