প্রধান মেনু

অবিলম্বে মায়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে – মায়া চৌধুরী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ দফা প্রস্তাব মেনে মায়ানমারকে অবিলম্বে তার নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। ততদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে রোহিঙ্গাদের সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে একথা বলেন। ত্রাণসচিব মো. শাহ্ কামাল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক মায়ানমার নাগরিক সে দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, নদী ও সাগরপথে বাংলাদেশে এসেছে। নারী, শিশু ও অসহায় অনুপ্রবেশকারীদের করুণ চিত্র বিশ^বাসীর নজরে এসেছে এবং বাংলাদেশ ও বিশ^বাসী এ নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন। অসহায় এই মানুষগুলোর দুঃখদুর্দশা মানবিক সংকট তৈরি করেছে। এ মানবিক সংকটে বিশ্ববাসীকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। মায়ানমারকে চাপ দিতে হবে। এদেরকে বাঙালি বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই।
এসময় মায়া চৌধুরী রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়দানে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার জন্য ১৪ হাজার শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। তাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে ১৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ও প্রতিদিন ৮টি স্থান থেকে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরও এ কাজে সহযোগিতা করছে।
মন্ত্রী বলেন, চাহিদামত বিদেশি আর্থিক ও পণ্য সহযোগিতা আসছে। ১৪টি স্থানে ত্রাণ রাখার গুদাম করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, এখনো পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিদিন ১৪ হাজার ইউনিট খাবারপানি বিতরণ করছে। এছাড়াও তারা ১০০টি টিউবওয়েল স্থাপন ও ৫০০ অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রতিদিন ৬৪ হাজার লিটার বিশুদ্ধপানি সরবরাহ করছে। ৩৬টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর ত্রাণকাজে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ত্রাণ পৌঁছানো নিরাপদ করতে সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম নৌ ও বিমানবন্দর থেকে ত্রাণ গ্রহণ করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ত্রাণকার্যে সার্বিক সমন্বয় করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২১ জন কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আগত রোহিঙ্গাদের খাবার, বাসস্থান নির্মাণ, পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ সার্বিক দায়িত্বপালন করছে।