প্রধান মেনু

অবশেষে ঘর পাচ্ছে ৭৪’র আলোচিত বাসন্তী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রতিশ্রুতির দুই মাস পর বাসন্তীর জন্য ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তায় বাসন্তীর ঘরের কাজ পুরোদমে চলছে । জানাগেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ১৯৭৪’র দূর্ভিক্ষের আলোচিত বাসন্তীর খোঁজ নিতে গিয়ে তার জন্য একটি থাকার ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দেন। সেই আশ্বাসের প্রায় দুই মাস কেটে গেলেও বাসন্তীর সহায়তার ঘরের কাজ শুরু না হওয়ায় বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তায় ঘরের কাজ শুরু করা হলো।

বাসন্তীর নির্মাণাধীন ঘরের কাজ তত্ত্বাবধায়ক আ.লীগ তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এসএম নুরুল আমিন সরকার জানান, বাসন্তীর জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা জানান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যারের নিজস্ব তহবিল থেকে বাসন্তীর জন্য ঘর করে দেয়া হচ্ছে। ঘরের কাজ শেষ হলে চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরের আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর আগে কারিতাস নামের একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান জোড়গাছ মাঝিপাড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বাসন্তীর নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলে। এনজিওটি বাসন্তীর নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়। ওটাই ছিল বাসন্তীর একমাত্র ঠিকানা। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বাসন্তী গ্রামটি বিলিন হয়ে যাওয়ার পর সত্তোর্ধো আলোচিত এ বাঁকপ্রতিবন্ধি নারী তার ছোট ভাই আশু দাসের ভাঙ্গা ঘরে ঠাই নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে আসছিলেন।